ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি – জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করার উৎসাহ
ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি এবং স্টাইলিশ পোস্টে আপনাকে স্বাগতম। ইসলাম আমাদের একমাত্র ধর্ম যেখানে আমরা নিজেদের সকল সমস্যার সমাধান পাই। এই পোস্টে আপনারা সবচেয়ে সেরা এবং বাছাইকৃত ইসলামিক ফেসবুক ক্যাপশন বাংলা পেয়ে যাবেন।
আমাদের ইসলামিক স্ট্যাটাস ক্যাপশন গুলো নিজের ভিতর আবৃত করলে নিজের কে পরিবর্তন করা সম্ভব হবে। নিজেকে পরিবর্তন করতে হলে সর্বপ্রথম এ নিজের মস্তিষ্ককে বদলাতে হবে। সব সময় পজেটিভ চিন্তা রাখতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতে আজেবাজে পোস্ট না করে ইসলামিক স্টাইলিশ ক্যাপশন দিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে পারেন।
বাংলা ইসলামিক ক্যাপশন আপনারা সহজে খুঁজে পান না। আর তাই আমরা অনেক সুন্দর ও মজার মজার স্টাইলিশ ইসলামিক ক্যাপশন বাংলা পোস্ট আপনাদের জন্য তৈরি করে নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা ও উপদেশ প্রদান করেছে। ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তিগুলি আমাদের আত্মবিশ্বাস, মনোবল এবং জীবনে সফলতার পথকে আরও সুস্পষ্ট করে তোলে। এগুলির মাধ্যমে একজন মানুষ জীবনযাত্রার কঠিন মুহূর্তে আলোর দিশা খুঁজে পেতে পারে এবং নিজেকে বিশ্বাস করার শক্তি অর্জন করতে পারে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি নিয়ে আলোচনা করব এবং কীভাবে এগুলি আমাদের জীবনে প্রেরণা দিতে পারে, তা বুঝতে চেষ্টা করব।
- “আল্লাহ তোমার জন্য যে পথ নির্ধারণ করেছেন, তাতে বিশ্বাস রাখো। তিনি সর্বদা তোমার কল্যাণ চান।”
— আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও ধৈর্য রাখলে সব সমস্যার সমাধান হয়। - “যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য ধৈর্য ধারণ করে, আল্লাহ তাকে উত্তম পুরস্কার প্রদান করেন।”
— আল্লাহ সব সময় ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন। - “যদি তুমি আল্লাহর উপর ভরসা রাখো, তিনি তোমার জন্য যথেষ্ট হবেন।”
— আল্লাহর উপর নির্ভর করলে জীবন সহজ হয়। - “কঠিন সময়ে আল্লাহকে স্মরণ করো, আর দেখবে তিনি তোমার জন্য পথ করে দিচ্ছেন।”
— আল্লাহর স্মরণে শান্তি ও সমাধান মেলে। - “দুনিয়ার জীবনের জন্য চিন্তা করো, কিন্তু আখিরাতের জন্যও প্রস্তুতি নাও।”
— এই দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু আখিরাত চিরস্থায়ী।
১. “তুমি যা করতে চাও, আল্লাহর নাম নাও এবং তোমার বিশ্বাসে দৃঢ় থাকো।”
এটি একটি অসাধারণ মোটিভেশনাল উক্তি, যা আমাদেরকে সাহস এবং দৃঢ়তার পথে চালিত করে। আমরা যখন কোনো কাজ শুরু করি, তখন যদি আল্লাহর নামে শুরু করি এবং তাঁর ওপর পূর্ণ আস্থা রাখি, তাহলে সেই কাজটি সফল হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। ইসলাম আমাদের শেখায় যে, আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য আল্লাহর رضا এবং দয়া অর্জন করা উচিত। যদি আমাদের হৃদয়ে এই বিশ্বাস থাকে, তবে আমাদের জীবনের সব কাজই সফলতার দিকে এগিয়ে যাবে।
২. “যখন তোমার সামনে কোনো কঠিন পরিস্থিতি আসবে, তখন জানবে আল্লাহ তোমার পরীক্ষা নিচ্ছেন।”
জীবনে চ্যালেঞ্জ এবং কঠিন পরিস্থিতি আসবেই। কিন্তু ইসলাম আমাদের শেখায় যে, যখন আমরা কোনো পরীক্ষার সম্মুখীন হই, তখন আমাদের আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস আরও দৃঢ় করতে হবে। আল্লাহর পরীক্ষা আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং ধৈর্য পরীক্ষা করে। এই পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠি এবং আল্লাহর কাছ থেকে আরও কাছাকাছি চলে যাই।
ইসলামে হাদিস একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, যা আমাদের জীবন পরিচালনার জন্য মূল্যবান শিক্ষা ও নির্দেশনা প্রদান করে। এখানে কিছু ইসলামিক মোটিভেশনাল হাদিস রয়েছে, যা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করতে পারে:
- ধৈর্যের শক্তি
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“কোনো ব্যক্তি ধৈর্যের চেয়ে উত্তম ও বৃহত্তর কোনো দান লাভ করেনি।”
— (বুখারি ও মুসলিম)
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, ধৈর্যধারণ আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয় এবং তা সব সমস্যার সমাধানের একটি মূল চাবিকাঠি। - ইচ্ছাশক্তির গুরুত্ব
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“একজন মুমিনের শক্তিশালী ইমান আল্লাহর নিকট দুর্বল ইমানের চেয়ে উত্তম ও প্রিয়।”
— (মুসলিম)
এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, নিজের ইমানকে শক্তিশালী করা এবং ভালো কাজের প্রতি অটল থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। - সদাচরণের গুরুত্ব
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি, যার চরিত্র ও আচরণ সবচেয়ে সুন্দর।”
— (তিরমিজি)
উত্তম চরিত্র ও সদাচরণ একজন মুসলমানের জন্য মূল গুণ হিসেবে বিবেচিত হয়। - কঠোর পরিশ্রমের মূল্য
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“আল্লাহ্ তার বান্দার পরিশ্রমকে কখনো বৃথা যেতে দেন না, যদি তা তাঁর সন্তুষ্টির জন্য হয়।”
— (তিরমিজি)
এই হাদিস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আল্লাহ আমাদের সব পরিশ্রম ও ইবাদতের মূল্য দেন এবং তা কখনো অকার্যকর হয় না। - আল্লাহর ওপর নির্ভরশীলতা
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“যদি তোমরা আল্লাহর ওপর যথাযথভাবে ভরসা করতে পারো, তাহলে তিনি তোমাদের সেইভাবে রিযিক দেবেন, যেমন পাখিদের দেন—তারা সকালে ক্ষুধার্ত বের হয় এবং সন্ধ্যায় পেট ভরে ফিরে আসে।”
— (তিরমিজি)
এই হাদিস আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতি গুরুত্ব দেয়।
৩. “বিশ্বাস রাখো, আল্লাহ তোমার জন্য সেরা কিছু রেখে দিয়েছেন, যা তুমি জানো না।”
এটি একটি অনুপ্রেরণামূলক উক্তি যা আমাদেরকে আশা এবং বিশ্বাসের পথে চলতে উৎসাহিত করে। জীবনের প্রতিটি ধাপে আমরা যদি বিশ্বাস রাখি যে, আল্লাহ আমাদের জন্য সর্বোত্তম কিছু রেখেছেন, তবে কোনো কষ্ট বা দুঃখ আমাদের মনকে দুর্বল করতে পারবে না। প্রতিটি দুঃসময় শেষে, সুখের এবং সফলতার এক নতুন দিগন্ত খুলে যায়, যদি আমরা আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করি।
৪. “নিরাশ হয়ে যেও না, আল্লাহ সব কিছু জানেন।”
জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে যদি আমরা মনে করি যে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে, তাহলে আমরা নিরাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে যে, আল্লাহ আমাদের সকল দুঃখ, কষ্ট এবং সংগ্রাম জানেন। সুতরাং, কখনোই নিরাশ হওয়া উচিত নয়। আল্লাহ সব পরিস্থিতির উপর ক্ষমতা রাখেন এবং যেকোনো মুহূর্তে আমাদের পরিস্থিতি বদলে দিতে পারেন। তাই, বিশ্বাস এবং ধৈর্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
৫. “যতটা শক্তিশালী হবে, ততটা তোমার ইমানও শক্তিশালী হবে।”
ইসলামে বলা হয়েছে যে, একজন মুসলিমের শক্তি শুধু শরীরিক নয়, বরং মানসিক এবং আধ্যাত্মিকও হতে হবে। আমাদের ইমান যত শক্তিশালী হবে, ততটাই আমাদের মনোবল এবং আত্মবিশ্বাসও শক্তিশালী হবে। ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি গুলি আমাদেরকে আত্মবিশ্বাসী এবং সাহসী হতে শেখায়। সত্যিকার শক্তি আসে ইমানের মাধ্যমে, যা আমাদের জীবনে আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণ করতে সাহায্য করে।
৬. “প্রত্যেকটি কঠিন কাজের পর একটি সহজ কাজ আসে।”
ইসলামিক শিক্ষা আমাদের শিখিয়েছে যে, জীবনে সংগ্রাম এবং পরিশ্রমের পরে শান্তি এবং সহজতা আসবেই। আমাদের প্রতিটি কষ্টের পর, আল্লাহ আমাদের জন্য একটি সহজ পথ খুলে দেন। এই বিশ্বাস আমাদেরকে উৎসাহিত করে যে, কঠিন সময়ে আল্লাহ আমাদের সহায়তা করবেন এবং আমাদের জীবনকে সহজ করে দেবেন।
১/ আপনার দুর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলা-ই রাখেন। তাই তাঁর কাছেই প্রার্থনা করুন। -[ড. বিলাল ফিলিপ্স]
২/ নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তাঁকে নিরবে ডেকে যাওয়া বান্দাদের হতাশ করেন না। -[ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৩/ কখনো কখনো মানুষ আপনাকে বয়কট করবে, দূরে সরিয়ে দিবে, তবে এগুলোকে পার্সোনালি নিয়ে ভেঙ্গে পড়বেন না। কারণ আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা হয়তো ওদের দিক থেকে দূরে সরিয়ে তাঁর নিজের দিকেই আপনাকে ডাকছেন। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৪/ কথা বলা যদি রূপা হয় তবে নীরব থাকা হচ্ছে সোনা। – [লুকমান (আ:)]
৫/ আল্লাহর কাছে আপনি প্রার্থনা করা বন্ধ করে দিলে তিনি রাগান্বিত হন। অথচ আদম সন্তানের কাছে কিছু প্রার্থনা করলে সে রেগে যায়। – [ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)]
৬/ যে বিষয়ে মনে খটকা লাগে সে বিষয়টা যতোটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৭/ এমন কারো সঙ্গী হোন যে আপনাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৮/ যদি কেউ আপনার প্রভুর আনুগত্য পছন্দ না করে তবে আপনারও তাকে পছন্দ করার কোন যুক্তি নেই। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৯/ যখন পৃথিবীর কেউ আপনাকে বুঝতে চেষ্টা করে না, তখন এতটুকু মনে রাখুন আল্লাহ্ আপনাকে বুঝেন। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
১০/ নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে প্রতিটা বিষয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করুন। কেননা আপনার জন্য কোনটি কল্যাণকর তা তিনিই ভালো জানেন। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
১১/ যখন আপনি কুরআন তিলাওয়াত করেন তখন মনে করবেন আপনি আল্লাহর সাথে কথোপকথন করছেন এবং তিনি সরাসরি আপনাকে বলছেন। – [ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রহ)]
১২/ আপনি যদি চান আল্লাহ্ আপনার সবগুলো পছন্দনীয় কাজ গ্রহণ করুন, তাহলে আপনি আল্লাহর পছন্দনীয় কাজগুলোই করতে থাকুন। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
১৩/ দ্বীন ও দুনিয়া একসাথে অর্জন করতে কুরআন ও সুন্নাহ্ ব্যতীত অন্য কোন পথ নেই। যদিও মনে হবে দুনিয়া অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
১৪/ অন্যকে দাওয়াত দিতে গিয়ে নিজেকে ভুলে যাবেন না। কারণ পরিবর্তন নিজেকে দিয়েই শুরু করতে হয়। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
১৫/ মানুষের খারাপ দিক খোঁজা বন্ধ করুন৷ তাদের ভুলগুলো সহজভাবে গ্রহণ করুন৷ তাদের সাথে ধৈর্যশীল হোন৷ পরিষ্কার একটি হৃদয়ের জন্য সংগ্রাম করুন এবং তাদের ভেতরের ভালটা দেখুন৷ – [শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক]
১৬/ সর্বশক্তিমান কখনোই ঐ ব্যক্তির ভুল প্রকাশ করবেন না যে মানুষের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা থেকে বিরত থাকে। তাই অন্যের পাপ প্রকাশ করা বন্ধ করুন। -[শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক]
১৭/ আমাদের জীবনে করা বড় ভুল কখনও কখনও আমাদেরকে পরিবর্তন করে দেয় সবচেয়ে ভালো মানুষে। – [শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক]
১৮/ মাঝে মাঝে দুঃখের দ্বারা আমারা এমনভাবে দগ্ধ হই যে আমারা ভুলেই যাই এমন অনেক বিষয়, যা আমাদের সুখী করতে পারে। কিছু সময় নিয়ে সেগুলো সম্পর্কে চিন্তা করুন। -[শাইখ মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক]
১৯/ সন্ত্রাসবাদ কখনোই কোন ধর্মীয় অধিকার নয়। আর ইসলাম সবসময়ই সাধারণ মানুষ হত্যাকে ঘৃণা করে। তাই কেউ চাইলেই এসব হত্যাকান্ডকে ইসলামাইজ করতে পারে না। -[ডা. জাকির নায়িক]
২০/ আপনার পাপগুলো আল্লাহর দয়া থেকে বড় নয়। -[ড. বিলাল ফিলিপ্স]
২১/ আপনি যদি আপনার মূল্য সঠিকভাবে বুঝতেন, তাহলে কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে পাপ কর্মে লিপ্ত হতেন না । – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
২২/ সত্যিকার বন্ধুরাই জান্নাতে (একে অপরের) প্রতিবেশী হতে চায়। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
২৩/ সে কী পেলো যে আল্লাহকে হারালো ? সে কী হারালো যে আল্লাহকে পেলো? – [ইবনু আতা’আল্লাহ আল ইসকান্দারি (রাহিমাহুল্লাহ)]
২৪/ আপনি যদি ইসলামকে চর্চা না করেন, দয়াকরে ইসলাম সম্পর্কে কিছু বলতে আসবেন না! -[ডা: জাকির নায়িক]
২৫/ যদি শরীর প্রদর্শনই (বেপর্দাই) হয় আধুনিকতা, তাহলে পশুরাই সবচেয়ে বেশি আধুনিক! -[ডা: জাকির নায়িক]
২৬/ নারী-পুরুষের জৈবিক ভালোবাসাকে প্রমোট করতে হয় না। এটা এমনিতেই (সৃষ্টিগতভাবে) প্রমোটেড। এটাকে বরং কন্ট্রোল করতে হয়। – [ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ)]
২৭/ সেক্যুলাররা যৌনতাকে প্রমোট করে, আর ইসলাম কন্ট্রোল করতে বলে। উভয়টার ফল ও পরিণতি সবার সামনে পরিস্কার। – [শাইখ আহমাদুল্লাহ]
২৮/ লোকের প্রশংসায় আনন্দিত হতে এবং লোকের নিন্দায় দুঃখিত হতে আপনার অন্তরকে প্রশ্রয় দেবেন না। – [ইমাম আবু হামিদ আল-গাজ্জালী (রাহিমাহুল্লাহ)]
২৯/ কখনো কখনো আল্লাহ তা’আলা আমাদের ভোগান্তিতে ফেলেন শুধু এজন্যই যে আমরা যেন তাকে স্মরণ করি। -[ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৩০/ আল্লাহকে ভয় করো, কেননা যে তাকে ভয় করে সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না। – [উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)]
৩১/ আল্লাহর প্রতি আপনার ভালোবাসা যতই বৃদ্ধি পেতে থাকবে, দুনিয়ার প্রতি আপনার ভালোবাসা ততোই কমতে থাকবে। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৩২/ তারা আমাদের ভাই-বোনদের মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখতে চায়, অথচ আমাদের পেছনে রয়েছে বদর, খন্দক, তাবুকের মতো শত শত স্মৃতি। – [কবি আল মাহমুদ]
৩৩/ দুনিয়া অর্জন নয়, দুনিয়া বিমুখীতাতেই রয়েছে দেহ ও মনের প্রশান্তি। – [উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)]
৩৪/ সেই ব্যক্তিই অভিশপ্ত যে মরে যায় অথচ তার খারাপ কাজগুলো পৃথিবীতে রয়ে যায়। — [আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু)]
৩৫/ যে বিপদ-আপদ ও মুসিবত আপনাকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে দেয়, তা সেই রাহমাতের চাইতে উত্তম যা আপনাকে আল্লাহর স্মরণ থেকে বিমুখ করে দেয়। -[ ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ)]
৩৬/ যখন তুমি দেখবে, নামাজের মধ্যে তোমার অন্তর উপস্থিত থাকছে না, তখন বুঝে নেবে, এটা ইমানের দূর্বলতার কারণ। কঠোর পরিশ্রম করো নিজের ঈমানকে মজবুত করার জন্য। -[ইমাম ইবনু কুদামাহ আল মাকদিসি (রহ.)]
৩৭/ আসক্তের মতো ভালবাসবেন না, ধ্বংসাত্মকভাবে কাউকে ঘৃণা করবেন না। – [উমার ইবনুল খাত্তাব ( রাঃ)]
৩৮/ এমন দু’টি নিয়ামত আছে, যে দু’টোতে অধিকাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তা হচ্ছে, সুস্থতা আর অবসর। – [মুহাম্মাদ (সা)]
৩৯/ পৃথিবীর জীবনটা তিনটি দিনের– গতকালের দিনটিতে যা করা হয়েছে সেগুলো নিয়ে সেটি চলে গেছে; আগামীকালের দিনটিতে হয়ত আপনি না-ও পৌছতে পারেন; কিন্তু আজকের দিনটি আপনার জন্য সুতরাং যা করার আজই করে নিন। -[ইমাম আল-হাসান আল-বাসরী (রহ)]
৪০/ তাওহীদ হলো সমস্ত দোয়া, সমস্ত কান্নাকাটি, সাহায্য চেয়ে সমস্ত আবেদন, সমস্ত আশা এবং সকল কল্যাণের আগমন ও সকল ক্ষতি নিবারণের জন্য প্রার্থনা অন্য কেউ নয় বরং কেবলই আল্লাহর উদ্দেশ্যে হতে হবে। – [ইমাম মুহাম্মাদ আলী আশ-শাওকানী (আল দূর আল-নাদিদ)]
৪১/ এখনকার তরুণদের সমস্যা হলো, তারা যখনই নতুন কিছু শিখে তখনই মনে করে তারা সব জেনে ফেলেছে।” – [মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন আল-আলবানি (রাহিমাহুল্লাহ)(সিলসিলাত-উল-হুদা ওয়ান-নূর, পৃ ৮৬১)]
৪২/ আপনি যেদিন উপলব্ধি করবেন ইসলামের জন্য কী বিশাল পরিমাণ কাজ করা প্রয়োজন অথচ হাতে কতটা কম সময় রয়েছে, সেদিন বুঝতে পারবেন ছুটির দিন কাটানোর মতো কোন সময় নেই। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৪৩/ নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি একাই একটি শহর দখল করে ফেলে তার চেয়েও শক্তিশালী সেই ব্যক্তি যে নিজের কামনাকে জয় করে। – [সুলাইমান বিন দাউদ (হিলইয়াহ আল-আউলিয়া, ৬/১৭০৭)]
৪৪/ যে স্থানে থাকা আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন সেখানে আপনার উপস্থিতি এবং যেখানে থাকতে আল্লাহ আদেশ করেছেন সেখানে আপনার অনুপস্থিতির ব্যাপারে সাবধান হোন। -[আবু হাজিম (আল-হিলইয়াহ, ৩/২৩৪)]
৪৫/ তাঁর (আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার) পক্ষ থেকে আসা প্রতিটি শাস্তিই সম্পূর্ণরূপে ন্যায়বিচার এবং তাঁর পক্ষ থেকে আসা প্রতিটি কল্যাণ পরিপূর্ণভাবে তার দয়া (রাহমাত)। – [ইমাম ইবনে তাইমিয়া (মাজমু’ ফাতাওয়া, ১০/৮৫)]
৪৬/ কোন কিছুকে সংশোধন করতে আমার এত বেশি সংগ্রাম করতে হয়নি, আমার আত্মাকে বশ করতে আমার যত বেশি কঠিন লেগেছে ; কখনো আমি জয়ী হই, কখনো হই পরাজিত। – [ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি (বায়োগ্রাফি অফ সুফিয়ান আস-সাওরি : সালাহউদ্দিন ইবন আলী ইবনে আবদুল-মাউজুদ, পৃ ৮৬)]
৪৭/ নিশ্চয়ই একজন লোকের কোন কাজ ছাড়া অযথা বসে থাকা দেখতে আমি ঘৃণা করি, যখন সে দুনিয়ার জীবনের জন্য কোন কাজ করছে না, এমনকি আখিরাতের জন্যও কিছু করছে না। – [আবদুল্লাহ ইবনে মাস’উদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু)]
৪৮/ আজ আপনি যে ছেলে/মেয়েটার সাথে হারাম সম্পর্কে লিপ্ত আছেন বিচারদিবসে সে-ই আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৪৯/ কেউ আপনার থেকে দূরে চলে যাওয়াতে অধিক চিন্তিত হবেন না। কারণ তা আল্লাহরই পরিকল্পনা ছিল। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৫০/ ভালোবাসা ও দয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়। আর তা বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুব ফুটে উঠে। তারা একে অপরকে ভালোবাসে, দয়া করে এবং নিরাপত্তা দেয়। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৫১/ মুসলিম হওয়া মানে আপনার কোন সমস্যা থাকবেনা এমনটা নয়। তবে আপনার সাথে থাকবে সকল সমস্যার সমাধান দেওয়ার একমাত্র উৎস আল্লাহ্ সুবাহানহুয়া তা’আলা। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৫২/ দুঃখজনক কোন বিষয়ে আমাদেরকে সহজে মানিয়ে নিতে বিষয়টিকে এমনভাবে গ্রহণ করতে হবে যে, আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে মানসিকভাবে দৃঢ় করতেই এমনটা করেছেন। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৫৩/ আজ আপনি যে ছেলে/মেয়েটার সাথে হারাম সম্পর্কে লিপ্ত আছেন বিচারদিবসে সে-ই আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৫৪/ কেউ আপনার থেকে দূরে চলে যাওয়াতে অধিক চিন্তিত হবেন না। কারণ তা আল্লাহরই পরিকল্পনা ছিল। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৫৫/ ভালোবাসা ও দয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয়। আর তা বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুব ফুটে উঠে। তারা একে অপরকে ভালোবাসে, দয়া করে এবং নিরাপত্তা দেয়। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৫৬/ একজন মুসলিম স্বামীর প্রথম কর্তব্য হলো তার স্ত্রীকে ইসলামিক পথের নির্দেশনা দেয়া। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৫৭/ আপনি যদি চান আল্লাহ্ আপনার সবগুলো পছন্দনীয় কাজ গ্রহণ করুন, তাহলে আপনি আল্লাহর পছন্দনীয় কাজগুলোই করতে থাকুন। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৫৮/ দ্বীন ও দুনিয়া একসাথে অর্জন করতে কুরআন ও সুন্নাহ্ ব্যতীত অন্য কোন পথ নেই। যদিও মনে হবে দুনিয়া অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৫৯/ অন্যকে দাওয়াত দিতে গিয়ে নিজেকে ভুলে যাবেন না। কারণ পরিবর্তন নিজেকে দিয়েই শুরু করতে হয়। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৬০/ আমরা যা শিখছি তা যদি আমাদের বিশ্বাসের উপর কোন প্রভাব ফেলতে না পারে, আমাদেরকে আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে যেতে না পারে, আমাদের বিশ্বাসকে আরো মজবুত করতে না পারে, তাহলে এর অর্থ হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্যে কিংবা নিয়্যাতে ভুল আছে। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৬১/ আমরা কখনোই এতোটা ব্যস্ত নই যে আমাদেরকে সালাত ছেড়ে দিতে হবে। এটা কেবল আমদের গুরুত্বের উপর নির্ভর করে। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৬২/ আমাদের কাজগুলোর মধ্যে ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধগুলোই উত্তম ও প্রশংসাযোগ্য। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৬৩/ স্বচ্ছ হৃদয় হচ্ছে অন্যকে ক্ষমা করতে পারা হৃদয়। তাই অন্যকে ক্ষমা করুন এবং কারো ক্ষতি করার ইচ্ছা পরিহার করুন। আর তা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করুন। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৬৪/ আপনার বন্ধুরাই কিন্তু আপনার জানাজার সালাতে প্রথম কাতারে দাঁড়াবে। তাই এখন থেকেই বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হোন। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৬৫/ অন্যের সম্পদের প্রতি কখনো লোভ করতে যাবেন না। হয়তো এটা তার জন্য পরীক্ষা। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৬৬/ সৌভাগ্যবান বাবা-মা তারাই যাদের অনুপস্থিতিতেও তাদের জন্য সন্তানেরা দু’আ করে। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৬৭/ আপনার দুর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করার ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলা-ই রাখেন। তাই তাঁর কাছেই প্রার্থনা করুন। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৬৮/ আপনি যদি আজ থেকেও চিন্তা করেন যে আপনার সকল কর্ম আল্লাহ্ তা’আলা দেখছেন, তবে দেখবেন আপনার জীবনে একটু একটু করে হলেও অনেক উন্নতি হচ্ছে। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৬৯/ একাকীত্ব সবসময়ই একটু বিরক্তিকর মনে হয়। তবে যে তাঁর প্রভুর (আল্লাহর) আনুগত্য করে সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৭০/ আল্লাহর দয়া নিয়ে কখনোই সন্দেহ প্রকাশ করবেন না। তিনি এক নিমিষেই যেকোন বিপদ থেকে আমাদেরকে মুক্তি দিতে পারেন। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৭১/ আপনার জন্য সবচেয়ে উত্তম স্থান হলো কারো দোয়ায় আপনি উপস্থিত থাকতে পারা। কারণ সে আপনার ব্যাপারে আল্লাহর সাথে কথা বলছে, আর আল্লাহ্ হলো সর্বোত্তম শ্রবণকারী। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৭২/ সফল লোকদের ঠোটে যে দুটি জিনিস সবসময়ই থাকে তা হলো- হাসি ও নীরবতা। কারণ এক টুকরো হাসি অনেক সমস্যার সমাধান করে দেয়, আবার একটু নীরবতা অনেক সমস্যা থেকে বাঁচিয়ে দেয়। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৭৩/ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করতে গিয়ে আমরা কখনোই দরিদ্র হয়ে যাবো না। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৭৪/ যেখানে আল্লাহ্ তা’আলা থামিয়ে দিয়েছেন সেখানে কারো প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। আর এটাই আনুগত্য। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৭৫/ আল্লাহর দ্বীন মেনে চলার মধ্যেই আল্লাহর প্রতি আপনার ভালোবাসা প্রমাণ হবে। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৭৬/ সে কিছুই হারায়নি যে তার সবকিছু আল্লাহর কাছে সমর্পণ করেছে। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৭৭/ কি চমৎকার একটি সম্পর্ক- আমরা আল্লাহ্ তা’আলা কে স্মরণ করলে তিনিও আমাদের স্মরণ করেন। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৭৮/ আল্লাহ্ সুবাহানহুয়া তা’আলার বিশেষ একটি নিয়ামত হচ্ছে- মাঝেমাঝে তিনি আমাদেরকে এমন পরিস্থিতিতে ফেলেন যা আমাদেরকে তাঁর নিকটবর্তী করে দেয়। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৭৯/ জীবনটা একটি যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে জান্নাত অর্জন করাই মূল লক্ষ্য। তাই আপনার চিরশত্রু শয়তানের বিরুদ্ধে অবিরাম লড়াই করে চলুন। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]
৮০/ আল্লাহ্ সুবাহানহুয়া তা’আলার সাহায্য সবসময়ই আমাদের সাথে ছিল, আছে এবং থাকবে। প্রয়োজন শুধু চেয়ে নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করা। – [ড. বিলাল ফিলিপ্স]